গরম নাকি ঠান্ডা পানি: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন সকাল বেলা খালি পেটে পানি করে থাকেন । আবার অনেক সময় ডাক্তাররাও বলে থাকেন খালি পেটে পানি পান করতে।
আবার দেখা যায় গরমের দিনেও অনেকেই তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বরফ ঠান্ডা পানি পান করে থাকেন। কতটকু ঠান্ডা পানি পান করা শরীরের জন্য উপযোগী তা হয়ত আমরা অনেকেই জানিনা।
তাই আমাদের পানি পান করার ক্ষেত্রে ঠান্ডা নাকি গরম পানি পান করতে হবে এ নিয়ে রয়েছে অনেকের মনেই সংশয়। এই সংশয় দূর করতে আসুন জেনে নেই ঠান্ডা পানি ও গরম পানি শরীরে আলাদা আলাদা ভাবে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কেঃ
শরীরে গরম পানির প্রভাবঃ
১/ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে থাকে হাল্কা কুসুম গরম পানি।
২/ শ্বাসতন্ত্রে থাকা শ্লেষা দূর করতে সহায়তা করে গরম পানি।
৩/ কুসুম গরম পানি মাংশপেশী বা জয়েন্ট এর ব্যাথা দূরীকরনে সাহায্য করে থাকে।
৪/ গলার টনসিল ব্যাথাও দূর করতে সহায়তা করে গরম পানি।
৫/রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে গরম পানি।
৬/ গরম পানি পরিপাক হরমোনকে উদ্দীপিত করে।
৭/ ঘাম ও মূত্রের মধ্য দিয়ে শরীরের টক্সিন কমায় গরম পানি।
৮/ শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমায় গরম পানি
শরীরে ঠান্ডা পানির প্রভাবঃ
১/ হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে ঠান্ডা পানি।
২/ পুষ্টি উপাদান নস্ট হয়ে যায়।
৩/ শরীরের রক্তনালিগুলোকে সংকুচিত করে ঠান্ডা পানি।
৪/ ঠান্ডা পানি শ্বাসতন্ত্রে অতিরিক্ত শ্লেষা তৈরি করে। যার কারনে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা সহ গলার ইনফেকশন হতে পারে।
গরমের দিনে প্রচুর গরম থাকার কারনে শরিরের পানি অনেকাংশে ঘাম হিসেবে বেরিয়ে যায়, ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তাই অনেকেই ঠান্ডা পানি পান করে থাকেন। ঠান্ডা পানি শরিরে শক্তি সরবরাহ করে থাকে গরম এর দিনে বা ব্যায়াম এর সময়ে। কিন্তু শীতকালে যদি ফ্লু থাকে তাইলে কোন ভাবেই ঠান্ডা পানি পান করা যাবেনা।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
Leave a comment